মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইয়াসমিন আক্তার তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে ও শ্বশুরকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন৷ হঠাৎ পাশের বাসিন্দা রহুল আমীনের স্ত্রী লিজাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলার পর মারধর করেন ইয়াসমিনকে । পর, ঘর থেকে বের করে দিয়ে রুমের দরজায় তালা দেওয়া হয় ।
শনিবার(৫ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকার দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের আরিতা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানান, স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হুদার সাথে জমি বেচাকেনা নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে বিরোধ চলছিল প্রতিবেশি রহুল আমীনের সাথে৷ সেই বিরোধের জেরে ধরে রাতেরবেলা ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় নুরুল হুদার ছেলের বউ ইয়াসমিনকে৷ ঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়৷
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ঘরে তালা দেওয়ার পর একপর্যায়ে ইয়াসমিনকে মারধর করেন রহুল আমীনের স্ত্রী লিজাসহ পরিবারের অন্যরা৷ মারধরের সময় ডাক চিৎকার দিলে পাশের বাড়ির বাসিন্দা খালা শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম এসে ইয়ামিনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন৷ উদ্ধার চেষ্টার এক পর্যায়ে রহুল আমীনের পিতা চার্জার(স্টিলের) লাইট দিয়ে মারধর করে মনোয়ারা বেগমকে৷ এসময় মাথায় আঘাত পেয়ে মনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হয়ে যায়৷ পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়৷ অন্যদিকে স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে ঘরের তালা খুলা হয়৷ এরপর ঘরে প্রবেশ করে আহত পরিবারের সদস্যরা ।
মারধরে আহত মনোয়ারা বেগম: -একুশের কণ্ঠ
ইয়াসমিনের শ্বাশুড়ি রোকেয়া বেগম বলেন, আমাকে ভুলভাল বুঝিয়ে এই জমি কিভাবে দলিল করেছে তা আমি সঠিক বলতে পারছি না । আমার ছেলে ও স্বামী বিষয়টি জানার পর আমার স্বামী জমিটি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন৷
এ বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গেলে রহুল আমীনের স্ত্রী লিজা আক্তার বলেন, ঘরসহ এই জায়গা আমরা ক্রয় করেছি কয়েকমাস আগে৷ কয়েকবার সময় দেওয়া হয়েছে জায়গার দখল ছেড়ে দেওয়া জন্য। কিন্তু তাঁরা এখান থেকে যায়নি৷ অন্য সময়ের মত সেদিন(শনিবার) ইয়াসমিনকে বলা হয়েছে ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু সে ঘর ছাড়েনি৷ উল্টো আমাদের উপর আক্রমনের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন ইয়াসমিনের খালা শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম৷ তাঁকে আমার শ্বশুর ফেরাতে গেলে মনোয়ারার মাথায় লাইটের আঘাত লাগে৷
অন্যদিকে রহুল আমীন বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি৷ এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা জমি ক্রয় করে দলিল করে নিয়েছি৷ ঘরসহ জমি থেকে সরে যেতে কয়েকবার তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউ শুনেনি বরং জমি নিজেদের দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন নুরুল হুদার পরিবার৷
দোহারের চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জুবায়েদুল হক মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে৷
দোহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।